শাহরাস্তিতে চাঞ্চল্য: ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, পরদিন আরেকজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে জনতা ব্যাংকের এক সিনিয়র কর্মকর্তার রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের পরদিনই সহকর্মীর গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুলিশ সূচীপাড়া বাজারের ‘আপন প্লাজা’র পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে জনতা ব্যাংক সূচীপাড়া শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে রাকিবুল হাসানের রুম থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের রুমে থাকা সহকর্মী নাজিম উদ্দিন প্রথমে দরজায় নক করেন। সাড়া না পেয়ে বিষয়টি ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে রাকিবুলের নিথর দেহ উদ্ধার করে।

তার ঠিক একদিন আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল), জনতা ব্যাংকের অপর সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইনকে ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, দুর্নীতির সঙ্গে রাকিবুল হাসানের নাম জড়িয়ে পড়ায় মানসিক চাপে পড়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

রাকিবুল হাসান শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পাচুখাকান্দি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। কর্মজীবনে তিনি সততা ও নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ববোধের জন্য পরিচিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। তবে হঠাৎ তার এই করুণ পরিণতিতে সবাই শোকাহত ও হতবাক।

পুলিশ বলছে, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ—সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই দুই দিনের ঘটনায় জনতা ব্যাংক সূচীপাড়া শাখায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ব্যাংকের গ্রাহক থেকে শুরু করে সহকর্মীরা পর্যন্ত আছেন গভীর উদ্বেগে। প্রশ্ন উঠেছে—আসলে কী ঘটেছিল ব্যাংকের ভেতরে?